রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:২১ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
ফিরোজ হোসেন বদলগাছী, নওগাঁ :
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে- ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের নতুন বই বিতরণের সময় ৩৬ জন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে- ২০০ টাকা করে সাত হাজার দুই শত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মাঠে এলাকাবাসী এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে জড়ো হয়েছেন।
তাদের অভিযোগ সরকার সারাদেশে সব স্কুলে নতুন বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে দিচ্ছে। কিন্তু এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক- প্রতিজন শিক্ষার্থীর কাছে- ২০০ টাকা করে মোট ৩৬ জন শিক্ষার্থীদের কাছে সাত হাজার দুই শত টাকা নিয়ে বই দিয়েছেন। আর টাকা না দেওয়ায় কিছু শিক্ষার্থী এখনো বই পায়নি। কেন টাকা নেওয়া হচ্ছে সেটা জানতে আমরা এসেছি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক জানুয়ারি বই দেওয়ার নামে ৩৬ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাঁচ-সাতজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে জানান, প্রধান শিক্ষক- ২০০ টাকা করে নিয়ে নতুন বই দিয়েছেন। কোনও রশিদ দেননি। আর টাকা না দেওয়ায় কিছু শিক্ষার্থী এখনো বই দেওয়া হয়নি। বিদ্যালয়ের সবুজ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সারা দেশের শিক্ষার্থীরা এক জানুয়ারি নতুন বই পেয়ে আনন্দ করেছে। অন্যদিকে বিষ্ণুপুর সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কিছু শিক্ষার্থী এ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সরকার বিনামূল্যে বই দিচ্ছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক লিলি টাকা ছাড়া বই দিচ্ছেন না। এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক লিলি পারভিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৩৬ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে- ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। এই টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে। নতুন বইয়ের জন্য কোনও টাকা নেয়া হয়নি। বই উৎসব পালন করেই প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই দিয়েছি। তাছাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে এই টাকা নেওয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন্দ ও অরণ্যের সাথে কথা হলে তারা বলেন, বই দেওয়ার দিন মেড্যাম- ২০০ টাকা নিয়ে আসতে বলছিলো। তাই ২০০ টাকা করে দিয়ে বই নিয়ে গেছি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.আমিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার ছাত্র-ছাত্রীদের বই দিচ্ছেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। সরকারি বই বিতরণ নীতিমালা অনুযায়ী বিতরণের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনও রকম অর্থ নেওয়ার সুযোগ নেই। উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান কে নির্দেশ দিয়েছি তদন্ত করার। সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয়ে বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহবুব হাসান বলেন, আমি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।